এবিএনএ : সুস্থ শরীরের পাশাপাশি সুস্থ ত্বকও প্রয়োজন। ত্বকের সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর খাবার বেছে নেয়া জরুরি। খাবারে পানির পরিমাণ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং তৈলাক্ততা এসব সরাসরি ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। ত্বক ভালো, সুস্থ, সতেজ ও চিরতরুণ রাখতে আপনি যা খাবেন তাতে প্রচুর পানি থাকা উচিত। সে সঙ্গে চাই নানা ধরনের ভিটামিন।
যা খাবেন :
শসা
শসায় সিলিকা থাকায় এটি উজ্জ্বল ও পরিষ্কার ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে, ত্বকের কোলাজেনকে রক্ষা করে এবং টান টান রাখে। সবুজ খোসাসহ শসা এতে আরও বেশি সাহায্য করবে।
লেবু
প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে একটা লেবু চিপে সেই পানি পান করলে যকৃত পরিষ্কার হয়। আর ত্বক ভালো রাখতে যকৃতের ভূমিকা অপরিসীম।
টমেটো
টমেটোতে যে লাইকোপিন নামে উপাদান আছে, তা ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। আর ভিটামিন সি ত্বকের রুক্ষতা দূর করে। গবেষকেরা একমত যে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় টমেটো আপনার ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেবে না।
গাজর
গাজরে আছে প্রচুর ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন এক কাপ কাঁচা গাজর আপনার ত্বককে আলাদা এক উজ্জ্বলতা দেবে এবং সূর্যালোকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচাবে। ত্বকের রংয়ে লালচে আভা এনে দেবে এই গাজর।
যা খাবেন না :
ভাজা-পোড়া
অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, যেমন ভাজা-পোড়া খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়। কেননা, এরা টক্সিন তৈরি করে, ত্বকে নীরব প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকের সুস্থতা ব্যহত হয়।
চিনি
রক্তে চিনি বা শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে গ্লাইকেশন প্রোডাক্ট তৈরি হয় দেহে, আর তা ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে ত্বক তার টানটান সতেজতা হারাতে থাকে। ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যেতে থাকে। তাই ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে হলে মিষ্টি কিন্তু খেতে হবে কম।
ক্যাফেইন
চা ও কফিতে যে ক্যাফেইন আছে তা শরীরকে দ্রুত পানিশূন্য করে, কর্টিসোল হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়, ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করে। ফলে ত্বক ক্লান্ত ও বুড়োটে দেখায়। অ্যালকোহলও তাই, এটি ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। রক্তনালির ওপর মন্দ প্রভাব ফেলে, চর্বি বাড়ায়। ফলে ত্বক অনুজ্জ্বল দেখায়। তাই চা-কফিতে পরিমিত হতে হবে।